বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে দ্রুতই নিজের অবস্থান শক্ত করেছে সৌদি আরব। দেশটিকে ঘিরে এখন সারা বছরই চলে চলচ্চিত্র উৎসব ও তারকাদের আনাগোনা। সেই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের’ পঞ্চম আসর। ১০ দিনের এই আয়োজনজুড়ে প্রদর্শিত হবে ৫০টির বেশি দেশের শতাধিক ছবি।
রেড কার্পেটের প্রথম রাতটিই যেন তারকার মেলায় রূপ নেয়। হাজির হন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, ঐশ্বরিয়া রাই, কার্স্টেন ডানস্ট, ভিন ডিজেল, জেসিকা আলবা, কুইন লতিফা, ডাকোটা জনসন, আনা ডি আরমাস, রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, উমা থারম্যান, কৃতি শ্যাননসহ নামকরা তারকারা। এ ছাড়াও সম্মাননা পান শিল্পী জুলিয়েট বিনোশে, স্যার মাইকেল কেইন এবং স্ট্যানলি টং।
উৎসবের প্রথম দিনের আকর্ষণ ছিল ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিশেষ এক ঘণ্টার সেশনে উপস্থিতি। সেখানে নিজের দীর্ঘ অভিনয়জীবনের নানা পর্ব নিয়ে অকপটে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, জীবনে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কখনোই দ্বিধায় পড়েননি। ‘অন্যরা কী বলল- সেটা আমাকে প্রভাবিত করতে দিইনি। অনিরাপদও বোধ করিনি। সম্ভবত এ কারণেই আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।’
ঐশ্বরিয়া জানান, তিনি সবসময় শেখার মনোভাব ধরে রেখেছেন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্থাপত্য, আর সেখান থেকে অভিনয় জীবনের প্রতিটি ধাপই তাঁর কাছে নতুন শিক্ষার অভিজ্ঞতা। ‘ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম, পরে স্থাপত্যে পড়েছি। তারপর ভাগ্য আমাকে নিয়ে এসেছে সিনেমায়। এখনো আমি নিজেকে একজন শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখি,’ বলেন তিনি। বড় বাজেট ও আড়ম্বর নয়- ভালো গল্পই তাকে টানে বেশি। ‘দেবদাস’-এর মতো ব্যয়বহুল ছবির পরই তিনি কাজ করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালিতে’।
ঐশ্বরিয়ার ভাষায়, ‘দেবদাসের পর সবাই ভেবেছিল, আমার পরের বড় প্রজেক্ট কী হবে। কিন্তু আমি বেছে নিয়েছিলাম চোখের বালি, কারণ সুন্দর গল্পের সঙ্গে কাজই আমাকে তৃপ্তি দেয়।’












